এই লেখায় যা যা আছে
বিভিন্ন ধরনের মাথা ব্যাথা ও মাথা ব্যাথার ঔষধ এবং চিকিৎসা নিয়ে প্রাথমিক কথা
আজকের এই লেখায় বিভিন্ন ধরনের মাথা ব্যাথা এবং মাথা ব্যাথার চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করবো। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের নিত্যসঙ্গী হলো এই মাথা ব্যাথা। মাথা ব্যাথার রয়েছে নানা কারণ আর রকমভেদ। বিভিন্ন ধরণের মাথা ব্যাথায় উপশমের চেষ্টাও করতে হয় বিভিন্নভাবে।
এই লেখায় বিভিন্ন ধরনের মাথা ব্যাথা সহ মাথা ব্যাথার ঔষধ এবং চিকিৎসা থাকবে। লেখার শেষে বিভিন্ন ঔষধের নাম দিয়ে দিবো।
বিভিন্ন ধরনের মাথা ব্যাথা

বিভিন্ন ধরনের মাথা ব্যাথাগুলো হলো,
- দুশ্চিন্তাজনিত মাথা ব্যাথা
- মাইগ্রেন
- সাইনাস জনিত মাথা ব্যাথা
- ক্লাস্টার
- সেকেন্ডারি মাথা ব্যাথা
এখন এগুলোর বিস্তারিত জেনে নেই চলুন!
দুশ্চিন্তাজনিত মাথা ব্যাথা
আমাদের প্রায় সবারই এই ধরণের মাথা ব্যাথা সাথে পরিচয় আছে। পুরো মাথার চারপাশে কিছু দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রাখার মত ব্যাথা হয় এ সময়ে। কাজের চাপ, বিশ্রামের অভাব বা এরকম কোনকিছু নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে চিন্তিত থাকলে এমনকি ঘুমের সময় সঠিকভাবে মাথার অবস্থানের হেরফের হলে এ ধরণের ব্যাথা হতে পারে।
চিকিৎসা
সাধারণত প্রচলিত ব্যাথার ওষুধ এর চিকিৎসায় গ্রহণ করা যায়। সমস্যা দীর্ঘকালীন হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
মাইগ্রেন
মাথা ব্যাথার মধ্যে মাইগ্রেনের ব্যাথা অধিকতর তীব্র। শরীরের পরিপাক প্রক্রিয়া, মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালনে সমস্যা এমনকি জেনেটিক্যালিও এ সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসা
মাইগ্রেনের পুরোপুরি নিরাময়ের কোন চিকিৎসা এখনো নেই। কিন্তু কিছু ব্যায়াম, ওষুধ ব্যাথা উপশমের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এসব ছাড়াও মাঝে মধ্যে মাথার একপাশে প্রচন্ড রকমের মাথা ব্যাথা হয়, সাথে চোখ জ্বালা-পোড়া দেখা দেয়। এই ধরণের ব্যাথা ১৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সময় পর্যন্ত থাকে।
সাইনাসজনিত মাথা ব্যাথা
এ ধরণের মাথা ব্যাথা কপাল, গালের হাড়ের দিকে ব্যাথা থাকে এবং জ্বরবোধ হয়। সাইনাসজনিত প্রদাহ, সর্দিতে এই মাথা ব্যাথা হয়।
চিকিৎসা
অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ক্লাস্টার
এই ধরণের মাথা ব্যাথা হঠাৎ করেই শুরু হয়ে বেশ তীব্র মাথায় পৌঁছায়। মাথার যেকোন এক সাইডে থেকে ব্যাথা শুরু করে অনেক সময় দেখা যায় চোখের পেছনের দিকেও হয়ে থাকে।
এর স্থায়িত্ব ৫-১০ মিনিট থেকে শুরু করে ৩ ঘন্টা পর্যন্তও হতে পারে। দেখা যায়, এই ধরণের মাথা ব্যাথায় নাক, চোখ অথবা মাথার যেখানে যেখানে ব্যাথা হয় সেখানে লাল হয়ে যায়। তীব্র আলো, ঘ্রাণ বা গন্ধ এবং শব্দে এই ধরণের মাথা ব্যাথা বেড়ে যায়।
মাথা ব্যাথার ঔষধ ও চিকিৎসা
মাইগ্রেনের চিকিৎসা এবং ক্লাস্টারের চিকিৎসা একই। তবে বেশি সিরিয়াস ব্যাথা হলে ডাক্তার ভেরাপামিল জাতীয় ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সেকেন্ডারি মাথা ব্যাথা
এই ধরণের মাথা ব্যাথার কারণ হিসেবে দেখা যায় ব্রেইনের কোন ধরণের সমস্যা যেমন- টিউমার, সিজার, ব্রেইনের রক্তনালীতে কোন ইনফেকশন। এইসব কারণে এই ধরণের মাথা ব্যাথা শুরু হয়।
চিকিৎসা
এই ধরণের মাথা ব্যাথায় দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। কারণ যত দেরি করবেন তত ক্ষতির হার বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।
মাথা ব্যাথার ঔষধ এর তালিকা

মাথা ব্যাথার ঔষধ গুলো হলো,
- Arain (আরিন)
- Lograin (লজরিন)
- Migratol (মিগ্রাটল)
- Anilic ( এনিলিক)
- Mygan (মাইগান)
- Migrex (মিগরেক্স)
- Minopa (মিনোপা)
- Namitol (নামিটোল)
- Tolmic (টলমিক)
- Tufnil (টাফনিল)
আপনি এখানে লেখা দেখে চট করে সিদ্ধান্ত নিবেন না। আমাদের সাজেশন্স হবে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করবেন না। লিখবে সবাই‘র সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের আরো ব্লগ পড়ুন